এবারের ১৪তম আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসবের থিম পাহাড় এবং লোগো ফিল্ম ‘পাহাড়িকা’। গত ডিসেম্বর মাসে খবরে আসে ম্রো-দের পাঁচটি গ্রামের মানুষকে উচ্ছেদ করে চিম্বুক পাহাড়ে পাঁচ তারকা হোটেল নির্মাণ করা হবে। যদিও প্রথমে ঢাকাভিত্তিক একটি ফিল্ম হবে ঠিক হয়, পাহাড়ি জনগোষ্ঠী এবং তাদের বর্তমান পরিস্থিতি ঘিরেই অবশেষে তৈরি করা হয় ‘পাহাড়িকা’। ইমন আমাদেরকে জানান,
“শুটিং করা হয় রাঙ্গামাটিতে এবং পরিকল্পনা অনুযায়ী সেখানকার স্থানীয় দুজন শিশুকে অভিনয় করতে নেওয়া হয়৷ স্থানীয়রাও আমাদের এই উদ্যোগের বেশ প্রশংসা ও সাহায্য করেন”।
লোগো ফিল্মের নাম‘পাহাড়িকা’ কেন তা জানতে চাইলে পাশ থেকে ইমন বলে ওঠেন, “ভয়ংকর!” কিন্তু আসিফ জানান, তিনি যখন প্রথমবার রাঙ্গামাটি যান, তখন ‘পাহাড়িকা’ নামক একটি বাসে যান এবং ঐ জায়গার নাম শুনলে তার এই বাসটির কথা মনে পড়ে, সেখান থেকেই এই নামকরণ!
আসিফ এবং তার দল ভবিষ্যতে আবারও লোগো ফিল্ম নির্মাণ করতে চান বলে আমাদের জানান।
লোগো ফিল্ম নির্মাতা দলে প্রথমে আছেন আসিফ-উল-ইসলাম, তিনি লোগো ফিল্মের পরিচালক আর তার পাশাপাশি এডিটিং এবং ভিএফএক্সের কাজও করেছেন।
লোগো ফিল্ম এর সহকারী পরিচালক হলেন তারেক হাসান। ক্যামেরার পেছনে কাজ করার কোন অভিজ্ঞতা না থাকলেও তিনি ছিলেন পরিচালকের পাশেই, তাকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করে গেছেন। লোগো ফিল্মের এনিমেশনের পুরো কাজটি করেছেন আফ্রিদা মাহজাবিন। ‘পাহাড়িকা’তে সংগীত ব্যবহারটি খুবই সুন্দর ও গুরুত্বপূর্ণ এবং এই বিষয়টি দেখেছেন নবীন খান, আমাদের একজন অনেক পুরনো স্বেচ্ছাসেবক। মং সনাই, প্রোডাকশন ডিজাইনার, তার নিজ হাতে আঁকা ছবি আমরা ‘পাহাড়িকা’ তে দেখতে পাই শিশুদের হাতে। প্রোডাকশনে থাকার ইচ্ছা আগে থেকেই তার ছিল আর এই কর্মযজ্ঞের সাথে যুক্ত হয়ে তিনি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
ইসফার মুস্তাকিম, লোগো ফিল্মের সিনেমাটোগ্রাফার, নিজের কাজ নিয়ে প্রথমে দোলাচালে ভুগছিলেন। তা কেটে যায় ধীরে ধীরে। ইমন তার বন্ধু তাশফিকের কথা উল্লেখ করে তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। সবশেষে, রন্তদাকে অনেক ধন্যবাদ জানান আমাদের লোগো ফিল্মের ক্ষুদে অভিনেতাদের খুঁজে দেয়ার জন্য। অনেক শুভ কামনা রইলে এই টিমের জন্য!
-নাভিনা নুন