এবারের ১৪তম আন্তর্জাতিক উৎসবে দেশি-বিদেশি ১৭৯টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে। এর মধ্যে বাংলাদেশি কিশোর–তরুণ নির্মাতা আছেন ৬৬ জন। এই উৎসবে ৯ বছর বয়সী শিশু থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠরত তরূণেরাও চলচ্চিত্র পাঠিয়েছে।
এবারের নির্মাতাদের মধ্যে বয়সে সবচেয়ে ছোট কিন্তু কাজে বড় মুবাশশিরা ইবনাত মুগ্ধ। বয়স মাত্র ৯, কিন্তু উৎসবের অতি পরিচিত মুখ। ১৩তম আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসবে তার এবং তার ভাইয়ের নির্মিত চলচ্চিত্র ‘বুন ইজ মিসিং‘ পুরস্কৃত হয়। এবারের উৎসবে থাকছে তার আরেকটি স্টপ-মোশন ‘ব্লাইন্ড‘। নির্মাতাদের মধ্যে আরেক ক্ষুদে সদস্য তাহিম রিয়াসাত অহন। লকডাউনের উদাসীনতা কাটাতে ঘরে বসে নিজের প্রথম চলচ্চিত্র ‘দি ক্রেজি বার্ড‘ নির্মাণ করে ফেলল এই নয় বছর বয়সী নির্মাতা! ১৬ বছর বয়সী ফাহিমের কাছে জানা গেল করোনা মহামারীর কারণে শুটিং করতে বেশ প্রতিকূলতার সম্মুখীন হতে হয়। কিন্তু সকল বাধা পেরিয়ে যখন চলচ্চিত্রটি নির্বাচিত হলো তখন সকল কষ্টই যেন পানি হয়ে গেল। অন্যদিকে সমবয়সী রাহনুমা তাহসিন জানালো, করানোর কারণে বাসায় অবসর সময়ে কাজ করা তার জন্য সহজ হয়েছে। কিন্তু প্রথমবার ফিল্ম বানানোতে কোন স্ট্যান্ড বা প্রফেশনাল সামগ্রী তার কাছে ছিল না। তাই বাসায় থাকা ওজন মাপার যন্ত্র এবং শিলপাটার সাহায্যে স্ট্যান্ড নির্মাণ করেন! বরিশালের সিফাত শাহরিয়ার পর পর দুই বছর উৎসবে অংশগ্রহণ করেছে। সে জানায় উৎসবের ওয়ার্কশপগুলোতে সব বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা এবং সমমনা ডেলিগেটদের সাথে আনন্দময় মুহূর্ত তার প্রতিটি দিনকেই আনন্দময় করে তুলছে।
-আয়েশা এ চৌধুরী