উৎসবের ২য় দিন, ৩১ জানুয়ারি, আমাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছিলেন পর্বতারোহী নিশাত মজুমদার। প্রথম বাংলাদেশি নারী হিসেবে তিনি পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট আরোহণ করেন এবং দলের অন্যান্যদের সাহায্যে এভারেস্টের উচ্চতা পরিমাপ করেন।
সেশনটিতে তিনি তাঁর এভারেস্ট জয়ের গল্প শোনালেন এবং তাঁর প্রতিকূলতাগুলোর সাথে মোকাবেলার গল্পও বললেন। আমাদের ডেলিগেট এবং স্বেচ্ছাসেবকেরা তাকে বিভিন্ন প্রশ্ন করে এবং তিনি সাগ্রহে সেসবের উত্তর দেন। আমাদের এবারের থিম পাহাড় নিয়ে এবং নিশাতের সখ্যতাও সেই পাহাড়ের সাথেই। তাই আমরা এই বিষয়ে তাকে কিছু প্রশ্ন করি।
তিনি প্রকৃতি ও পাহাড়কে অনেক কাছ থেকে দেখেছেন যার সুযোগ আমাদের অনেকেরই হয়নি। আমাদের সুবিধার জন্য প্রকৃতির ক্ষতি করে ভবিষ্যতে যে প্রতিকূলতার সম্মুখীন আমরা হতে পারি তাকে সে সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়। উত্তরে তিনি বলেন, “প্রকৃতি আমাদের করণীয় এবং বর্জনীয়- সবই ইশারায় জানিয়ে দেয়। যারা সেসব ইশারা বুঝতে পারে তারা নিঃসন্দেহে বুদ্ধিমান কিন্তু যারা বুঝতে পারে না তাদের জন্য পৃথিবীর ক্ষতি হচ্ছে এবং এর ফলাফল সবারই ভুগতে হবে। আধুনিকায়ন এবং সভ্যতার সাথে তাল মিলিয়ে চলতে গিয়ে প্রকৃতিকে তুচ্ছজ্ঞান করা যাবে না।” চিলড্রেন’স ফিল্ম সোসাইটি বাংলাদেশের কার্যক্রম তিনি কিভাবে দেখছেন সে সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “ফিল্ম মেকিং নিয়ে পড়াশোনার ব্যবস্থা করতে পারলে অনেক তরুণের স্বপ্ন পূরণ হবে। এছাড়া ডেলিগেটদের জন্য আয়োজিত কর্মশালা এবং তারকাদের সাথে আড্ডাগুলো তাদের ভবিষ্যতে অনেক গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে বলে আমি মনে করি।”
-আয়েশা এ চৌধুরী