‘১৪তম আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসব বাংলাদেশ ২০২১’ -এই আন্তর্জাতিক উৎসবটি নামানো ও পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে একঝাঁক শিশু-কিশোর-তরুণেরা, এরা সবাই স্বেচ্ছাসেবক। বয়সে কাঁচা হলেও কাজে এরা খুবই পাকা। উৎসব পরিচালক ফারিহা জন্নাত মিম-এর নেতৃত্ব প্রায় ৮০ জন সেচ্ছাসেবক এবার উৎসবে কাজ করছে। উৎসব নামানো ও পরিচালনার গুরু দায়িত্ব নিয়ে ফেস্টের ৩-৪ মাস আগেই এরা কাজ শুরু করে দেয়। এবারের উৎসবে এদের মূল চ্যালেঞ্জ ছিল করোনা মহামারীর মাঝে উৎসবটি আয়োজন করা, আর চ্যালেঞ্জটি জয় করতে পেরে তারা খুশি। ২০০৮ সালে উৎসবটি শুরু হওয়ার পর ১৪ বছরে উৎসবের বেশ কিছু পরিবর্তন এর মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন হলো শুরুতে বড়দের নেতৃত্ব ও পরিচালনায় ছোটদের জন্য উৎসবটি আয়োজিত হতো আর এখন এই ছোটদের নেতৃত্বে ছোটদের জন্য এই উৎসবটি হচ্ছে। এরা বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে উৎসবের বিভিন্ন কাজগুলো পরিচালনা করছে। উৎসবের সেচ্ছাসেবকদের সম্পর্কে উৎসব পরিচালক ফারিহা জান্নাত মিম এর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আগে উৎসবটি করার জন্য স্বেচ্ছাসেবক নেয়া হতো আর এখন স্বেচ্ছাসেবকদের জন্য উৎসবটি আয়োজিত হচ্ছে। এই কঠিন করোনা মহামারীর মাঝেও স্বেচ্ছাসেবকদের অদম্য ইচ্ছা ছিলো উৎসব আয়োজনের অন্যতম কারণ। তার কো-ডিরেক্টর, কোওর্ডিনেটর, পয়েন্ট অফ কন্টাক্ট ও বাকি সব ভলান্টিয়াররা তাকে উৎসবটি সুন্দর করে পরিচালনা করতে সহযোগিতা করেছে এবং আশা করছে সামনেও তারা তাকে এভাবেই সহোযোগিতা করবে। এবারের উৎসবে মোট ১৩টি দল কাজ করছে। এবারের উৎসবের স্বেচ্ছাসেবকদের দলগুলো হলো প্রোগ্রামিং টিম, প্রোজেকশন টিম, ডেলিগেটস টিম, গ্রাফিক টিম, ওয়েব টিম, ভিডিওগ্রাফি টিম, ফটোগ্রাফি টিম, পাবলিকেশনস টিম, প্রেস এন্ড মিডিয়া টিম, ইভেন্টস টিম, অডিটোরিয়াম টিম, সেলস টিম, লজিস্টিক এন্ড অফিস টিম। ফেস্টের জন্য চলচ্চিত্র আনা থেকে শুরু করে, চলচ্চিত্র দেখানো, উৎসবের প্রচার, নির্মাতাদের সাথে যোগাযোগ ও তাদের জন্য ওয়ার্কশপ-সেমিনার আয়োজন, প্রেস এবং মিডিয়ার সাথে যোগাযোগ, উৎসবের ওয়েবসাইট সামলানো, সামাজিক মাধ্যম পরিচালনা, উৎসবের বিভিন্ন মুহুর্তের ছবি ও ভিডিও ধারণ, উৎসবের পত্রিকা বের করা, উৎসবের যাবতীয় জিনিসপত্র যোগাড় সহ উৎসবের যাবতীয় কাজ এই সেচ্ছাসেবকরাই করে।
-মোঃ রাফিউর রহমান