চিলড্রেন’স ফিল্ম সোসাইটির সৌজন্যে ডেলিগেটদের জন্য চারটি কর্মশালার আয়োজন করা হয়। প্রথমটি ছিল আন্তর্জাতিক পর্যায়ের স্ক্রিপ্ট রাইটার সাদিয়া খালিদ রীতির।তিনি বর্তমানে ‘ঢাকা ট্রিবিউন’-এর শোটাইম এডিটর হিসেবে কর্মরত। তিনি ডেলিগেটদের স্ক্রিপ্টের বিভিন্ন অংশ, লেখার নিয়ম এবং লেখার মান উন্নত করার বিভিন্ন কলা-কৌশল সম্পর্কে ব্যাখ্যা করেন।
তিনি একটি স্ক্রিপ্টের প্রধান চারটি অংশ হিসেবে লগলাইন, আউটলাইন, বিট শিট এবং সিনকে চিহ্নিত করেন। তিনি প্রথমেই বললেন, সম্পূর্ণ চলচ্চিত্রের ভাব ১-২ লাইনের সারমর্মর মাধ্যমে কিভাবে লগলাইনে প্রকাশ করতে হয়। এরপর একটি স্ক্রিপ্টের কাঠামো গঠনে আউটলাইনের গুরত্ব ব্যাখ্যা করেন। ‘আমার বন্ধু রাশেদ’ সিনেমাটির সাহায্যে তিনি থ্রি-অ্যাক্ট আউটলাইন সম্পর্কে বিস্তরিত আলোচনা করেন এবং মুভিটির ভিতর ৭টি পয়েন্ট চিহ্নিত করে দেখান। এরপর পর্যায়ক্রমে বিট শিট এবং দৃশ্য বা সিনের বিভিন্ন ক্ষেত্র নিয়ে আলোচনা করেন।
পরবর্তীতে তিনি গল্প-উপন্যাস ও একটি স্ক্রিপ্টের মধ্যে পার্থক্যগুলো সম্পর্কে বললেন।এরপর বিভিন্ন ধরনের ডায়ালগ এবং তাদের গ্রহণযোগ্যতা সম্পর্কে কথা চললো। ডেলিগেটরা আলোচনার মাঝে তাদের মনের প্রশ্নগুলো জিজ্ঞেস করে। অতঃপর তাদের এতক্ষণের আলোচনার প্রত্যক্ষ উদাহরণ দেখানো হয় কিছু আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্রের আলোকে।
রীতি জানালেন, “স্ক্রিপ্ট লেখার সময় সবসময় মাথায় রাখতে হবে আমরা এটি লিখছি দর্শকদের জন্য। তাই সবসময় বোধগম্য এবং সহজ স্ক্রিপ্ট লেখার চেষ্টা করতে হবে। এছাড়া স্ক্রিপ্টে পরিচালক, সিনেমাটোগ্রাফার এবং অভিনয়কদের কাজ ও সৃজনশীলতা প্রকাশের সুযোগ দিতে হবে”। সবশেষে বলিউড চলচ্চিত্র ‘চাঙ্গেলিং‘ – এর স্ক্রিপ্টের সামান্য অংশ দেখানোর মাধ্যমে শেষ হয় কর্মশালাটি। অবশেষে ডেলিগেটদের অনুভূতি জানতে চাইলে তারা নতুন কিছু শেখার আনন্দ ব্যক্ত করে৷ সৃজনশীল এক কর্মশালার সুন্দর সমাপ্তি ঘটে এভাবেই।
-আয়েশা এ চৌধুরী