উৎসবের ৪র্থ দিন, ২ ফেব্রুয়ারি, মঙ্গলবার উৎসবে এসেছিল শায়ান চৌধুরী অর্ণব। বাংলাদেশী আধুনিক গানের অন্যতম প্রধান ব্যক্তিত্ব। প্রিয় গায়কের আগমনে সব স্বেচ্ছাসেবক এবং ডেলিগেটদের মুখে ফোটে হাসি। সুফিয়া কামাল অডিটোরিয়ামটিতে ছিল না তিল ধারণের ঠাঁই।
অর্ণব তাঁর ছোটবেলায় শান্তিনিকেতনে বেড়ে ওঠা, রবীন্দ্র সংগীত শেখার গল্প নিয়ে মাতলেন আড্ডায়। তাঁর জীবনের এক বড় অংশ; প্রায় ১৭ বছর তিনি শান্তিনিকেতনে ছিলেন। মূলত চারুকলা নিয়ে পড়াশোনা শুরু করলেও তার ঝোঁকটা ছিল গানের প্রতি। সেই গল্প জানতে চাইলে তিনি বলেন, “ঢাকায় আমার বন্ধুরা আমাকে গীটারের সুরের সাথে বাজনা শেখাতো, গানে গানে সুর তুলতাম আমরা”। শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্র সংগীত ব্যাতিত অন্য কোনো গান গাওয়ার নিয়ম ছিল না। তিনি যখন ঢাকায় আসতেন তখন দেখতেন তরূণ গায়কেরা নিজেরাই গান লিখছে এবং সুর দিচ্ছে। এভাবে তাঁর নিজেরও গান লেখার তাড়না অনুভব হয়।
এক ডেলিগেটের প্রশ্নের উত্তরে অর্ণব তার প্রথমদিকের একটি অ্যালবাম ‘চাইনা ভাবিস’ এর পেছনের গল্পটি শোনান। গান লেখা ও গান গাওয়ার প্রতি ঝোঁক থেকে অ্যালবামটি তৈরি করেন তিনি, কিন্তু সেসময় আর্থিক দুরবস্থা এবং সুযোগের অভাবে অ্যালবামটি মুক্তি পেতে অনেক সময় লেগে যায়। তাঁর ব্যান্ড ‘বাংলা’ সম্পর্কেও স্মৃতিচারণ করলেন।
ডেলিগেটদের কাজের অনেক প্রশংসা করলেন অর্ণব। ভবিষ্যতে তাদের সাথে মিউজিক ভিডিওতে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করলেন তিনি। নতুন আর্টিস্টদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন “একক গানের চেয়ে অ্যালবাম প্রকাশ করা বেশি ফলপ্রসূ বলে আমি মনে করি। অ্যালবাম তৈরি করা সময় সাপেক্ষ হলেও একটি অ্যালবামের মাধ্যমে আর্টিস্ট এবং শ্রোতাদের মাঝে একটি সম্পর্ক তৈরি হয় যা একক গানে তেমনভাবে সম্ভব হয়ে ওঠে না”।
আড্ডা শেষে সবার কিছু প্রিয় গান গাওয়ার মাধ্যমে শেষ হলো প্রিয় গীতিকারের সাথে কাটানো মুহুর্তগুলো।
-আয়েশা এ চৌধুরী