উৎসবের পঞ্চম দিন বুধবার, ৩ ফেব্রুয়ারি, জাতীয় শিল্প গ্যালারী মিলনায়তনে, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে সকাল ১১ টা, দুপুর ২ টা, এবং বিকেল ৪ টায় এবং জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়। উৎসবে সিনেমা দেখার জন্য কোনো ধরনের প্রবেশমূল্য না থাকলেও এ বছর করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) এর কারণে মাস্ক পরিধানকে চলচ্চিত্র উৎসবের টিকেট হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিশুরা চলচ্চিত্র উপভোগ করেন। সকাল থেকে সব বয়সী দর্শনার্থীদের ভিড় দেখা যায় উৎসব প্রাঙ্গণে। শিশু-কিশোরদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে উৎসব প্রাঙ্গণ, বিকাল গড়িয়ে এলে অভিভাবকরা নিয়ে আসেন তাদের শিশু সন্তানদের, বিনামূল্যে উপভোগ করেন বিভিন্ন দেশের চলচ্চিত্র।
বাংলাদেশের প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক আবু শাহেদ ইমন সকাল ১১ টায় জাতীয় চলচ্চিত্র জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ফেস্টিভাল সার্কিটের উপর একটি কর্মশালা করেন। তরুণ চলচ্চিত্র উত্সাহীদের চলচ্চিত্রের সম্প্রসারণ উপস্থাপনা এবং তাদের এক্সপ্লোর এক্সপেরিয়েন্স অর্জনের মাধ্যমে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্ম তৈরী এবং অনন্য অভিজ্ঞতার গুরুত্ব আলোচনা করেন।
সেদিন সুফিয়া কামাল অডিটোরিয়ামের চলচ্চিত্র প্রদর্শনী অত্যন্ত বিশেষ ছিল কারণ শিশু চলচ্চিত্র নির্মাতারা বিভাগে (আন্তর্জাতিক) ৬ টি চলচ্চিত্র, সামাজিক প্রতিযোগিতা বিভাগে ৬ টি চিত্র প্রদর্শিত হয়েছিল। টিন ফিল্ম ওয়ার্কশপ ৫.০ অংশগ্রহণকারীদের দ্বারা নির্মিত দুটি চলচ্চিত্রের প্রিমিয়ারও করা হয়েছিল।