০৭ মার্চ, আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উত্সবের ষষ্ঠ দিন।দিনটি শুরু হয় মেজবাউর রহমান সুমন এর ওয়ার্কশপ দিয়ে। পরিচালক হিসেবে মেজবাউর সুমনের কর্মজীবন শুরু হয়।
তিনি একজন সঙ্গীতজ্ঞ এবং একজন সুরকার হিসাবেও পরিচিত। তিনি বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রশংসিত ব্যান্ড ‘মেঘদল’ এর অন্যতম সদস্য। ২০০০ সালে তিনি একটি অ্যানিমেটেড মুভি ‘গোপাল ভাঁড়’ তৈরি করেছেন। তার নির্দেশনা বাংলাদেশের জনগণের সংস্কৃতি ও জীবনধারা প্রতিনিধিত্ব করে। তিনি কয়েকটি টেলিভিশন বিজ্ঞাপনও তৈরি করেছেন। ওয়ার্কশপটি জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল অডিটোরিয়াম এ পরিচালিত হয়।
ক্ষুদে দর্শকেরা
কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরির শওকত ওসমান মিলনায়তনে চলচ্চিত্র প্রদর্শনীতে আজ উপস্থিত ছিল লেক সার্কাস উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তারা সিনেমা দেখার পর অনেক আনন্দিত হয়েছিল। শিক্ষার্থীদের প্রাঞ্জল পদচারণায় মুখরিত হয়েছিল সমস্ত প্রাঙ্গণ।
দুপুর ১:৩০ টায় উপস্থিত হয় নিউ মডেল বহুমুখী হাই স্কুল এবং মনেশ্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এর শিক্ষার্থীরা। তারাও আনন্দিতচিত্তে সব সিনেমা উপভোগ করেছে।
মুক্তিযোদ্ধাদের হৃদয় উষ্ণায়ন উপস্থিতি
কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরির সেমিনার হলে দুপুর ৩টায় অংশ নেয় কিশোর বয়সে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়া মুক্তিযোদ্ধারা। তারা যুদ্ধের দিনের কথা বলেছিল এবং অংশগ্রহণকারীদের বিভিন্ন সাহসী গল্প বলেছিলেন।
আসাদ চৌধুরী এবং আবেদ খান, প্রথম জন বাংলাদেশের বিখ্যাত কবি এবং দ্বিতীয় জন প্রখ্যাত সাংবাদিক, এই আড্ডায় অংশ নেয়। আসাদ চৌধুরী বলেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের গল্প এবং কিভবে সেখানের গান এবং ঘোষণাগুলো যোদ্ধাদের অনুপ্রাণিত করেছিল। আবেদ খান জানান কিভাবে তারা দিনের পর দিন একই কাপড় গাঁয়ে দিয়ে যুদ্ধ চালিয়ে গেছে অবিরাম। আড্ডায় অংশগ্রহণকারীদের উজ্জ্বল মুখ দেখেই বুঝা যাচ্ছিল আড্ডাটি তারা বেশ আগ্রহের সহিত উপভোগ করেছিল।