প্রতিটি ভালোলাগা বা ভালোবাসার কথা কখনোই এক বাক্যে বলা যায় না। চিলড্রেন’স ফিল্ম সোসাইটি,বাংলাদেশ এমন একটি পরিবার যেখানে প্রাণের মেলা বসে। আমার জীবনে তার স্থান রবীন্দ্রনাথের সেই গানের মতো, ‘নব আনন্দে জাগো, আজি নব রবি কিরণে’। মানুষ সাধারণত প্রাণের আনন্দে জেগে ওঠে দু’একবারই কিন্তু প্রতিবার যখন উৎসব শুরু হয় তখন প্রতিবার এবং প্রতিটি দিন আমরা সবাই নতুন উদ্যমে জেগে উঠি।

২০০৮ থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত উৎসব হাতছাড়া করতে পারিনি। প্রাণের জায়গা আমার কাছে খুব গুটি কয়েক তার মাঝে চিলড্রেন’স ফিল্ম সোসাইটির স্থান বেশ আগে। ২০০৮ সালে ক্লাস নাইনে ছিলাম আর আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই বছর প্রায় শেষ। তবুও চিলড্রেন’স ফিল্ম সোসাইটির জন্য ভালোবাসার একটুও কমতি হয়নি বরং আরও বেড়েই চলেছে।

পুরনোরা চলে যায়, নতুনরা আসে। হয়ত আমিও একদিন কর্মজীবনের জন্য চিলড্রেন’স ফিল্ম সোসাইটিকে এতোটা আগলে রাখতে পারব না, তবুও ভালোবাসা কখনোই ফুঁড়িয়ে যাবে না।

চিলড্রেন’স ফিল্ম সোসাইটিতে প্রায় সব ভাবেই অংশ নেয়া হয়ে গিয়েছে আমার। প্রথম টানা চারবছর ছিলাম ডেলিগেট আর তারপর জুরি বোর্ডে আর এখন অন্য সবার সাথে অর্গানাইজিং কমিটিতে।

আমার জীবনে আমি যতটুকু আমার কাজ দ্বারা এগিয়ে গিয়েছি তার পেছনে চিলড্রেন’স ফিল্ম সোসাইটি না থাকলে হয়ত এক পা যেতেও পারতাম না। আর যখন ২য় আর ৩য় উৎসবে পর্যায়ুনক্রমিকভাবে ২য় পুরস্কার পেলাম তখন উৎসাহ আরও বেড়ে গিয়েছিল।

বাংলাদেশের প্রতিটি শিশু যারা ফিল্ম তৈরী করতে চায় এবং তাদের ফিল্ম এর জন্য সামান্য স্বীকৃতি চায় তাদের জন্য চিলড্রেন’স ফিল্ম সোসাইটি সবচেয়ে বড় প্ল্যাটফর্ম। বলে বা লিখে শেষ করা যাবে না সব কিছু। এই পরিবারের সব সদস্যরা একে অপরের জন্য সব কাজে সব সময় এগিয়ে আসে। শেষ করতে চায় এই বলে,

‘ প্রাণ ভরিয়ে তৃষা হরিয়ে
মোরে আরো আরো আরো দাও প্রাণ।
তব ভুবনে তব ভবনে
মোরে আরো আরো আরো দাও স্থান।‘