এখনো মনে পরে সিএফএস এর প্রথম দিনটির কথা।২০০৯ সাল জানুয়ারি মাস।কেউ চিনতো না আমাকে, চুপচাপ বসে থাকা ছাড়া তেমন কোন গুন আমার মাঝে ছিল না।চিঠি এলো একদিন সিএফএস থেকে।সেখানে লিখা ছিল ৭ দিনের আন্তজাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসবে আমাকে আমন্ত্রন জানানো হয়েছে। গেলাম সেখানে, কাউকেই চিনতাম না।সারাদেশ থেকে আসা নানা রকমের ছেলে মেয়ে।নানা রকমের চিন্তাভাবনা। খুব কাছ থেকে দেখা হয়েছিল মোস্তফা মনোয়ার, তারেক মাসুদ, ক্যাটরিনা মাসুদ, মোরশেদেুল ইসলাম,জাফর ইকবাল, ফরিদুর রেজা সাগর স্যারের মত অনেক গুনি ব্যাক্তিদের সাথে।তাদের প্রতিটি কথাই আমার জন্য ছিল অনুপ্রেরণা, আশা ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন।এই ফেসটিভ্যাল থেকেই পেয়েছি জীবনের সেরা কিছু বন্ধু যারা এখনো আছে আমার সাথে।অসাধারণ তাদের কাজ অসাধারণ তাদের কাজের উপস্থাপনা।ওদের কাজ দেথে বরাবর নিজের আরো কাজ করার আগ্রহ জাগিয়ে তোলে। ফ্যাসটিভালে ছোটদের বানানো ফিল্ম দেখে মনে হতো কবে আমিও নিজে বানাবো ফিল্ম? যেই ভাবনা সেই কাজ।প্রথম ফিল্ম বানিয়ে চলে যাই নেদারল্যান্ডে একটি ফিল্ম ফেসটিভ্যাল এ।সেখান থেকে এসে আর থেমে থাকতে হয়নি। বানাতে শুরু করলাম একটি করে শর্র্ট ফিল্ম আর পেতে থাকি সাফল্য। ফিল্ম বানিয়েই আমার বাহিরের ফ্যসটিভ্যাল গুলোতে কয়েক বার যাওয়া হয় এবং বেশ কিছু সম্মানজনক পুরুষ্কারও পাওয়া হয়। আন্তজাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসবে আমিই প্রথম যে পর পর ৩ বার পুরষ্কার পাই।এতো কিছু বলার কারণ হচ্ছে আমার সব কিছুই শুরু হয়েছে সেই ২য় আন্তজাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসবকে ঘিরে। যেখানে না এলে হয়তো আমার স্বপ্ন দেখা হতো না। এখানে থেকেই আমার শুরু। সেই চুপ করে বসে থাকা ছেলেটি আজও আছি সিএফএস এর সাথে।এখনো কাজ করার চেষ্টা করি মিলে মিশে।সব শেষে একটি কথাই বলবো যে, এই ফেসটিভ্যাল থেকেই আমি আমার স্বপ্ন দেখা শুরু করি। পেয়েছি কিছু অসাধারণ বন্ধু, মায়ের মত মুন্নি খালাকে, সনি ভায়ের মতো বড় ভাইয়াকে, আর কিছু সমালচকদের, যাদের জন্যই আমার প্রতিটি কাজ আরো ভাল করার ইচ্ছে জোগায়।