পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট জয় করার স্বপ্ন অনেকেই দেখে কিন্তু এই স্বপ্ন বাস্তব করে বাংলাদেশের প্রথম নারী হিসেবে নিশাত মজুমদার, ২০১২ সালে। বর্তমানে তিনি ওয়াসা, বাংলাদেশ এ চিফ অ্যাকাউন্ট অফিসার পদে কাজ করছেন। রবিবার, জানুয়ারীর ৩১ তারিখ, সন্ধ্যা ৬টায়, সুফিয়া কামাল অডিটরিয়াম এ তিনি উপস্থিত থাকবেন আমাদের উৎসবে।
‘তোমার জন্য’, ‘হারিয়ে গিয়েছি’, ‘নাম ছিলোনা’, এই গান গুলোর নাম শুনলেই যেনো মনে গান গুলোর সুর বাজতে থাকে আর মনে পরে যায় গান গুলোর স্রষ্ঠা, শায়ান চৌধুরী অর্ণব এর কথা । স্কুল পাশের পর তিনি শান্তিনিকেতন এবং বিশ্বভারতীতে যোগ দিয়েছিলেন সংগীত ও শিল্পকলাকে ক্যারিয়ার হিসেবে নেয়ার জন্য। গানের সুন্দর লিরিক্স, সুরেলা সুর এবং নানা ভিন্ন আংগিকে গানের উপস্থাপন এর ফলে তাকে বাংলাদেশের পপ সংস্কৃতিতে অন্যতম প্রধান ব্যাক্তিত্ব করে তুলেছে।
রবীন্দ্র সংগীত ও অনন্য কন্ঠে সুনিধি নায়েক বাংলাদেশি শ্রোতাদের অন্তরে নিজের নাম তৈরি করেছেন। সুনিধি নায়েক একজন ইন্ডি-বাঙালি গায়িকা। তিনি রবীন্দ্র সংগীতে বিশ্বভারতী থেকে স্নাতক।
শায়ান চৌধুরী অর্ণব এবং সুনিধি নায়েক তারা দুজনই ২ ফেব্রুয়ারী, মঙলবার, সন্ধ্যা ৬টায়, সুফিয়া কামাল অডিটরিয়াম এ আসবেন আমাদের উৎসবে, আমাদের আড্ডায়।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল কাজী শাজ্জাদ আলী জহির একজন অবসরপাপ্ত সেনা কর্মকর্তা। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে সাহসিকতার জন্য তাকে বাংলাদেশের সরকার বীর প্রতীক দিয়ে সম্মানিত করে। যুদ্ধ শুরু হলে তিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনী থেকে পদচ্যুত হন এবং বৃহত্তর সিলেটে শত্রু বাহিনির বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। অবসর গ্রহনের পরেও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে ছাব্বিশটি বই লিখেছেন। চারটি খন্ড ‘দেশ কে ভালবেশে’ এর মধ্যে একটি।
মাশহারুল হক, একজন মুক্তিযদ্ধা, পাকিস্তানের বিমান সংস্থায় কাজ করতেন, একজন প্রশিক্ষন পার্থী কর্মচারী হিসেবে, কিন্তু দেশকে স্বাধীন ও নিপীরন থেকে মুক্ত করার লক্ষ্যে তিনি করাচি থেকে চলে আসেন ।
মারুফা মাশরুক নিরা, তিনি এখনজন নারী মুক্তিযদ্ধা, যুদ্ধের সময় তিনি খাবার, আশ্রয়, নিরাপত্তা দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্তপুর্ণ অবদান রাখেন।
এই তিনজন মুক্তিযদ্ধা আমাদের মাঝে তাদের সাহসিকতার গল্প বলতে আসবেন শুক্রবার, ফেব্রুয়ারির ৫ তারিখ, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে, বেলা ১১টা নাগাদ।
-রাহনুমা তাহসিন